স ম জিয়াউর রহমান :কানাডা থেকে দেশে ফিরেই আটক হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে জানান, কিছু অভিযোগের কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমিগ্রেশন থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো এবং কোথায় কী অভিযোগ আছে তা যাচাই-বাছাই করবো।
তবে গোয়েন্দা সংস্থা সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ উল্লেখ করতে পারে নি। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও সচেতন মহলে বেশ আলোচনা সমালোচনা লক্ষ্য করা গেছে।
পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায় , সুলতান মনসুর অনেকদিন ধরেই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা ভ্রমণে ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনের অনেক আগে থেকেই তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা নেই।
১৯৮৬ সালে সুলতান মনসুর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে নির্বাচিত হন ডাকসুর ভিপি। তার নেতৃত্বে নানা প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে ডাকসু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সুলতান মনসুর বিজয়ী হন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মনসুর একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির নানা সমীকরণে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোটগত লড়াইয়ে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হন। সংসদে নিজের ভূমিকা ছিল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মতো ও নিষ্ক্রিয়।
দেশে পরিচ্ছন্ন ও সুশীল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত সুলতান মনসুর। তাকে দেশে ফেরার পর বিমান বন্দর থেকে আটকে সর্ব মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিশিষ্টজন বলেন, সাবেক খ্যাতিমান ছাত্রনেতা সুলতান মনসুরকে আটক করে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন ও মব জাস্টিস বলতে কিছু নেই।
সুলতান মনসুরকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক ছাত্রনেতারা। তারা অবিলম্বে সুলতান মনসুরকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। এদিকে সুলতান মনসুরকে আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত মুক্তির দাবি জানান বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সমন্বয়ক স ম জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, সুলতান মনসুরকে আটক করে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার গভীর ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে সুলতান মনসুরকে ছেড়ে দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।