হাফিজুর রহমান চয়ন, হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চটাবিল গ্রুপ জলমহালটি রহস্যজনক কারণে ইজারাদারকে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই জলমহালের ইজারাদার জয়ধনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হারুন মিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে দায়ী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইর-রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের অধীনে থাকা ২০ একর অনুর্ধ্ব চাটলার বিল গ্রুপ নামে একটি জলমহাল রয়েছে। মুক্তারপুর মৌজায় ১০২, ৬৩, ১০৭৬ ও ১১১৩ নম্বর ৪টি হাল দাগে মোট ১৬ একর ৪৮ শতাংশ জমি নিয়ে এই জলমহালটির অবস্থান।
সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ এর আলোকে উপজেলার অনুর্ধ্ব ২০ একর পর্যন্ত বদ্ধ জলমহাল ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ১৪৩০ বাংলা সনের ফাল্গুন মাসের প্রথম দিকে ওই জলমহালটি ৩ বছর মেয়াদে ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী জয়ধনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হারুন মিয়া বাৎসরিক ২১ হাজার টাকা ইজারামূল্যে ১৪৩০ বাংলা সন থেকে ১৪৩৩ বাংলা সন পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন। পাশাপাশি তিনি জলমহালটির ইজারা মূল্যও যথারীতি পরিশোধ করেন। কিন্তু ইজারাদার গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে জলমহালটির ইজারা মূল্যের সাকুল্য টাকা পরিশোধ করলেও রহস্যজনক কারণে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইজারাদারকে ওই জলমহালের দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এতে করে জলমহালটি নিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ইজারাদার।
ইজারাদার হারুন মিয়া বলেন, মূলত আমার জলমহাল লাগোয়া ধানকুনিয়া নামক জলমহালের প্রভাবশালী ইজারাদার দেলোয়ার হোসেনকে লাভবান করার জন্যই উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা আমার বৈধভাবে পাওয়া জলমহালটির দখল আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এতে আমি ও আমার সমিতির লোকজন অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান বলেন, পার্শ্ববর্তী দুইটি জলমহালের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জঠিলতা রয়েছে। এ কারণেই ইজারাদারকে তার ওই জলমহালটির দখল বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দ্রুতই এই বিষয়টির সমাধান করা হবে।